২০২৩-সু-স্বাগতম
সংগ্রহ
শুরু হলো নতুন আরো একটি বছর- ২০২৩। নতুন বছরকে সু- স্বাগতম জানাচ্ছি। ২০২২ সাল নিয়ে আপাতত আলোচনা না করাই ভাল। তারপরেও বিগত বছরের কিছু কথা স্থৃতি কথায় কথায় এসে যায়। পুরনো বছরটা পাওয়া না পাওয়ার অনেক কথা আছে।
২০২৩ বছরটি কেমন যাবে বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে সে কথা আগাম বলা মুশকিল, জাতীয় নির্বাচন সামনে নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো নানামুখী কর্মসূচী দিতে শুরু করেছে। তাদের কর্মসূচী নিয়ে জনগনের মধ্যে বিভিন্নভাবে আলোচনা পর্যালোচনা চলছে। বর্তমান সরকারের বিরোদ্ধে বিরোধী জোটও দলের কর্মসূচী কী হবে এবং কতোটুকু বাস্তবায়ন করতে পারবে সে বিষয়গুলো এখন জনগনের পর্যালোচনায় রয়েছে।
তবু ও বলা যায় ২০২৩ সাল সময়টা বাংলাদেশের জনগনের জন্য অস্থিরতার সময় বলে মনে হয়। যদি রাজনৈতিক হাঙ্গামা, ধর্মঘট হরতাল দেখা দেয়, তাহলে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি, ব্যবসা ,বানিজ্য, আমদানী , রফতানি সব কিছুর মধ্যে বিরোপ প্রভাব পড়বে।
জনগন চায় না ২০২৩ সালে দেশে হিংসা করে হাঙ্গামা বাঁধুক। গনতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকুক, যতো সময়ে নিযার্তন অনুষ্টান সম্পন্ন হউক, জনগন ও রাজনৈতিক দল জোট তারা ভোট যুদ্ধে অংশ নিয়ে গণতন্ত্রকে লালন পালন করুক সেটায় জনগনের চিন্তা ও মতামত, বিশৃংখল পরিস্থিতি ও পরিবেশ সাধারণ মানুষ চায়না আর যারা বিশৃংখলা নৈরাজ্য জনবিরোধী কর্মকান্ড করবে তাদেরকে কঠোর হস্তে দমন করতে কোনো বাঁধার কারণ নেই; নতুন বছর দেশ জাতির জন্য সার্বিক সফলতা বয়ে আনুক।
পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয়ভাবে শান্তি ভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠা হউক, দুনিয়ার সকল মানুষ ও প্রাণী শান্তিপূর্ণ ভাবে পৃথিবীতে বাস করুক ২০২৩ সালে। জনগনের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠা হউক, অন্যায়ভাবে জুলুম ব্যাবিচার নির্যাতন বন্ধ হউক, ধর্মীয়ভাব সম্প্রীতি অব্যাহত থাকুক।
বাংলাদেশের জনগণের সুখ শান্তি সমৃদ্ধি প্রতিষ্ঠায় সরকারের ভূমিকা ও দায়িত্ব পালন সঠিক নিয়মে অব্যাহত রাথতে হবে। নতুন বছরে অফিস-আদালত, সেবাখাতকে দুর্নীতি মৃক্ত করতে হবে। জনগনের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবী পূরণ করতে হবে। নিত্যপণ্যের মূল্য যে ভাবেই হউক ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখতে হবে রাষ্ট্রীয় অর্থ অপচয় বন্ধ করতে হবে। সরকারী পরিবহনখাত, বিমান, রেল, নৌ স্থল খাতকে দুর্নিতি মৃক্তভাবে পরিচালনা করতে হবে। সব ধরনের দুর্নিতি অনিয়ম বন্ধ করে আদর্শিক সমাজ প্রতিষ্ঠার প্রত্যয়ে ২০২৩ সালকে সু-স্বাগতম।